ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিবিরোধী প্রতিবাদ মিছিলে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনার জেরে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় হেফাজতে ইসলাম। রোববার হরতালের সমর্থনে মুন্সিগঞ্জের শোলপুরে ৭-৮শ জন হরতাল সমর্থক রাস্তায় নামে। সে সময় সিরাজদিখান থানার (ওসি) এসএম জালাল উদ্দিন (৫২) ফোর্স নিয়ে সেখানে যায়। পরে সেখানে হরতাল সমর্থকদের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। বর্তমানে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
রোববার (২৮ মার্চ) হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালের দুপুর ১২টার দিকে শোলপুর আউলাদ মার্কেটের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সিরাজদিখান থানার পরিদশর্ক (তদন্ত) কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলার শোলপুরে ৭-৮শ জন হরতাল সমর্থক রাস্তায় ছিল। তাদের নিয়ন্ত্রণে ওসি জালালসহ ফোর্স নিয়ে সেখানে যাই। পরে হরতাল সমর্থকরা আমাদেরক লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে। এতে পুলিশের বেশ কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে ওসি জালাল উদ্দিনের অবস্থা গুরুতর।
কামরুজ্জামান আরও বলেন,ওসি জালাল উদ্দিনের অবস্থা গুরুতর জানিয়ে তিনি বলেন, আমি নিজে সাথে ওসি ও কনস্টেবল মো. শাহীন চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে আসি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদশর্ক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আহত ওসির মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। তার মাথায় সেলাই করা হয়েছে। বাকি দু’জনের আঘাত গুরুতর নয়।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ রোববার (২৮ মার্চ) দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাক দেয়। এই হরতালকে কেন্দ্র করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত সদস্যদের কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। হরতালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি মাঠে আছে বিজিবি।